ছবিটি আমার শিক্ষাসফর: ঐশী
logo
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছবিটি আমার শিক্ষাসফর: ঐশী

বিনোদন ডেস্ক
ডিসেম্বর ৪, ২০২১ ৮:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবি দিয়ে বড় পর্দায় অভিষিক্ত হলেন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। গতকাল মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। নিজের প্রথম ছবি নিয়ে যেকোনো অভিনয়শিল্পীর আলাদা উচ্ছ্বাস কাজ করে। ঐশীর কেমন লাগছে এই মুহূর্তে? সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মীর রাকিব হাসান

অনেক দিনের অপেক্ষা। অবশেষে মুক্তি পেল ছবিটি। অনুভূতি কী? 
দিন দিন কেমন যেন অনুভূতিহীন হয়ে যাচ্ছি। মাথা কেমন ফাঁকা হয়ে আছে! ঘুম নাই হয়ে গেছে। গত কয়েক রাত ঘুমাতে পারিনি। আর খাওয়া-দাওয়ার সময়ই পাচ্ছি না। কয়েক দিন ধরে প্রমোশনে খুবই ব্যস্ত ছিলাম। শুক্রবার সারা দিন টিমের সঙ্গে বিভিন্ন হলে গিয়ে ছবি দেখলাম। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই গুড উইশ জানাচ্ছেন।

আরিফিন শুভ আপনার অভিনয়ের বেশ প্রশংসা করলেন… 
তাই নাকি! কবে? আমার সামনে কিন্তু একদমই প্রশংসা করেন না। সাক্ষাৎকারে মাঝেমধ্যে আমার প্রশংসা করতে দেখি। আমাকে নাকি কোনো কিছু করতে বললে যত কষ্টই হোক, চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখি না। তবে তিনি কিন্তু আমাকে প্রচুর বকাঝকা করেন (হাহা)।

সহ-অভিনেতা হিসেবে শুভ কেমন? 
ভীষণ সাপোর্টিভ। একটা দৃশ্য করতে গেলে উনি শুধু নিজেরটা নিয়ে ভাবেন না, আমারও খোঁজ নিতেন। আমি কী করতে যাচ্ছি, কী করতে পারি—সবটা ওনার নজরে ছিল। প্রথম কাজ হিসেবে তো অনেক কিছুই বুঝতাম না, এই অ্যাঙ্গেলে দাঁড়াতে হবে, ওভাবে ভালো লাগবে। তিনি সিনেমাটোগ্রাফারকেও বলে দিতেন ঐশীর এভাবে একটা শট নাও, ভালো লাগবে। আমাকে বলতেন ঐশী সংলাপটা এভাবে একটু বলো তো, দেখো তো তোমার কাছে ভালো লাগে কি না। বলা যায় ছবিটি আমার ক্যারিয়ারের একটা শিক্ষাসফর।

কী শিখলেন? 
শুটিং শুরুর আগে আমাদের ওয়ার্কশপ হয়েছিল। সেটি আমাকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে। শিখিয়েছে কোনো একটি কাজ শুরু করার আগে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। কোন বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে হয়।

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? 
মরুভূমিতে শুটিং করতে বেশ কষ্ট হয়েছিল। গরম বালুর মধ্যে খালি পায়ে হাঁটা, ওর মধ্যে গড়াগড়ি করা। তবে দিনশেষে একজনের কথা বলতেই হবে— আরিফিন শুভ। এত কষ্ট করেছেন মানুষটা! ওনার কথা ভাবলে মনে হয় এই মানুষটার জন্য হলেও ছবিটা সাকসেসফুল হোক। তাঁর পরিশ্রম বৃথা যাওয়া উচিত না।

অ্যাকশননির্ভর ছবি। আপনাকেও কি অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে? 
ছবিটা তো অ্যাকশন থ্রিলে ভরা। ছবিটি দেখে মানুষ বুঝতে পারবে একজন পুলিশ অফিসার বা যাঁরা নিয়মিত ক্রাইম, ক্রিমিনাল ডিল করেন, তাঁরাও দিনশেষে মানুষ। তাঁদেরও প্রেম-ভালোবাসা থাকতে পারে, পিছুটান আছে, আবেগের জায়গা আছে।

কী কী কারণে  ছবিটি দর্শকের ভালো লাগতে পারে বলে মনে করেন?
একদম মৌলিক ও নতুন আঙ্গিকের গল্প পাবেন দর্শক। চমৎকার অ্যাকশন দৃশ্যগুলো উপভোগ করবেন। সংলাপগুলো খুব ভালো। তা ছাড়া এটি এমন মানের ছবি, বাংলাদেশে যেমনটি সচরাচর দেখা যায় না।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।