রোজা ভঙ্গের কারণ কী কী?
logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোজা ভঙ্গের কারণ কী কী?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
মার্চ ৯, ২০২৪ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

পবিত্র রমজান মাসে প্রায় সকল মুসলিমই মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্যে রোজা বা সাওম পালন করে থাকে। সুবহি সাদিক থেকে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে সকল প্রকার পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকার নামই হচ্ছে সাওম বা রোজা। এ লেখায় রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ তুলে ধরা হলো।

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন-

أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يقبل وهو صائم ويباشر وهو صائم ولكنه كان أملككم لأرِبِهِ

‘নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজা অবস্থায় স্ত্রী চুম্বন করতেন এবং রোজা অবস্থায় তিনি স্ত্রীদের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। কিন্তু তিনি তাঁর কামভাব তোমাদের চেয়ে অধিক নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম ছিলেন।’ (বুখারি ১৮৯৪, মুসলিম ১১৫১)

আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

وَكُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ ٱلۡخَيۡطُ ٱلۡأَبۡيَضُ مِنَ ٱلۡخَيۡطِ ٱلۡأَسۡوَدِ مِنَ ٱلۡفَجۡرِۖ ثُمَّ أَتِمُّواْ ٱلصِّيَامَ إِلَى ٱلَّيۡلِۚ

‘তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ না রাতের কালো রেখা থেকে ভোরের সাদা রেখা তোমাদের কাছে স্পষ্ট হয়। এরপর রোজাকে রাত পর্যন্ত পূর্ণ কর।’ (সুরা আল-বাকারা: আয়াত ১৮৭)

আসুন জেনে নেই, কী কী কারণে রোজা ভঙ্গ হয় এবং কী কী কারণে মাকরূহ হয়।কিছু কিছু কারনে রোজা হালকা হয়ে যায়। সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।

তবে যদি কোন ব্যক্তির স্বপ্ন দোষ হয় তাহলে রোজা ভঙ্গা যাবে না হালকা হয়ে যাবে। তবে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।  ইচ্ছে কৃত ভাবে এমন কামভাব ও মেলামেষা করলে সে কারনে রোজা ভঙ্গেরযাবে। আমাদের অনেক সচেতন হতে হবে। রোজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমল এবং রহমত ময়।

**খারাপ কিছু দেখা

**মনে মনে চিন্তা করা

**গালি দেওয়া

**মিথ্যা কথা বলা

** জগরা, গিবত, এগুলো করলে রোজা হালকা বা মাকরুহ হয়ে যায়।

রোজা ভঙ্গের কারণ সমুহ:

রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ নিচে দেওয়া হলো। অনেক গুলো কারনে রোজা ভঙ্গ হতে পারে।

১. ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।

২. স্ত্রী সহবাস করলে ।

৩. কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙ্গবে না)

৪. ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে।

৫. নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষধ বা তৈল প্রবেশ করালে।

৬. জবরদস্তি করে কেহ রোজা ভাঙ্গালে।

৭. ইনজেকশান বা স্যালাইরনর মাধ্যমে দেমাগে ওষধ পৌছালে।

৮. কংকর পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।

৯. সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সুর্যাস্ত হয়নি।

১০. পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।

১১. দাঁত হতে ছোলা পরিমান খাদ্য-দ্রব্য গিলে ফেললে।

১২. ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালায়ে ধোয়া গ্রহন করলে।

১৩. মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে ।

১৪. রাত্রি আছে মনে করে সোবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।

১৫. মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর নিদ্রা হতে জাগরিত হওয়া এ অবস্থায় শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।

এগুলো করলে রোজা ভঙ্গের হয়। আমরা এত কষ্ট করে আল্লাহ দেওয়া এই রোজা পালন করব সেটা ভঙ্গের যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখব।  যদি কোন ব্যক্তির স্বপ্ন দোষ হয় তাহলে রোজা ভঙ্গের যায় না তবে হালকা হয়ে যায়। ইচ্ছে কৃত এই ধরনের কাজ করলে রোজা ভঙ্গের যাবে।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।